ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গরু মোটা-তাজাকরণ বড়ি খেয়ে জনু আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু ঘটেছে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পাগলা থানা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পূর্ব গোলাবাড়ি গ্রামের এ ঘটনায় পাগলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের পূর্ব গোলাবাড়ি গ্রামের প্রবাসী শাকিল মিয়ার স্ত্রী জনু আক্তার শাশুড়ির সাথে বসবাস করতেন। শাকিল মিয়া বিদেশে থাকা অবস্থায় ফেইজবুকের মাধ্যমে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার সাদার চর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে জনু আক্তারের সাথে বন্ধুত্ব ও মন দেয়া-নেয়া হয়। এরই সূত্র ধরে ৭-৮ মাস আগে মোবাইলে শাকিল মিয়ার সাথে জনু আক্তারের বিয়ে হয়।
পরে শাকিল মিয়ার পরামর্শে জনু আক্তার গফরগাঁওয়ে এসে শাশুড়ির সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। বিয়ের সময় জনু আক্তারের স্বাস্থ্য খুবই কম ছিল। শাকিল মিয়া দেশে ফিরে স্ত্রীকে এতটা স্বাস্থ্যহীন দেখে পছন্দ নাও করতে পারেন- এ আশঙ্কায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য গরু মোটা-তাজাকরণ বড়ি খেয়ে আসছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমিয়ে পরেন জনু আক্তার। পরে ঘুমের মধ্যেই তিনি মারা যান।
স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পুলিশ মৃতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
পাগলা থানার ওসি শাহিনুজ্জামান খান বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় ঘরে গরু মোটা-তাজাকরণ ট্যাবলেটের খালি প্যাকেট পাওয়া গেছে। ধারণা করছি গৃহবধু স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য এই ট্যাবলেট খেতেন। ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন তিনি। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলেই সত্যটা জানা যাবে।